প্রতিযোগী কোম্পানির তৈরি অ্যাপ্লিকেশন বা ফিচার হুবহু অনুকরণ করা স্মার্টফোন নির্মাতাদের জন্য এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার। অ্যাপলও এর
থেকে পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি নতুন আইফোন ৬এস এবং আইপ্যাড প্রো এর অনেক ফিচার
সম্পর্কে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ তুলেছেন যে, অ্যান্ড্রয়েডের অনুকরণে এই
ফিচারগুলো তৈরী করা হয়েছে।
আসুন দেখে নেই অ্যাপলের এই “নকল করা” ফিচারগুলোর বিবরণঃ
[b]অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপারঃ[/b] অ্যাপল তাদের নতুন স্মার্ট ডিভাইসে যে
অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার নিয়ে এসেছে তা মূলত অ্যান্ড্রয়েডের লাইভ ওয়ালপেপার
ছাড়া আর কিছুই নয়।
[b]লাইভ ফটোঃ[/b] অ্যাপল দাবি করেছে যে তারা নতুন অ্যানিমেটেড ছবি তোলার
পদ্ধতি নিয়ে এসেছে। এই ধরণের ছবি তোলার পদ্ধতি অনেক বছর আগেই এইচটিসি
তাদের ডিভাইসের জন্য তৈরী করেছিলো। স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোনেও এই ফিচার
বিদ্যমান।
[b]বেশি মেগাপিক্সেলঃ[/b] অ্যান্ড্রয়েডের ক্যামেরাগুলো সবসময় অধিক
মেগাপিক্সেল সম্বলিত হয়ে থাকে। কিন্তু অ্যাপলের ফোন গুলোর মেগাপিক্সেল কম
হলেও ছবির মান অন্যান্য ফোন ক্যামেরার থেকে ভালো হয়। তাই অ্যাপল এই প্রথম
১২ মেগাপিক্সেলের ব্যাক ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা নিয়ে
এসেছে। এটাতেও তারা অ্যান্ড্রয়েডের অনুকরণই করেছে বলে সবাই মনে করছেন। যদিও
স্রেফ মেগাপিক্সেল বৃদ্ধিকে “অনুকরণ” হিসেবে বিবেচনা না করাই ভালো।
[b]ফ্রন্ট ক্যামেরার জন্য ফ্ল্যাশঃ[/b] বাজারে খুব কম ফোনেই এই সুবিধা
রয়েছে। আইফোন ৬এস এ আসল ফ্রন্ট ফ্ল্যাশ নেই কিন্তু যখন সেলফি তোলা
হয় তখন এটির রেটিনা ডিসপ্লে নিজে নিজেই অধিক উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
স্ন্যাপচ্যাটের কাছ থেকে এই কৌশলটি ধার করার জন্য অ্যাপল তাদেরকে ধন্যবাদ
দিতেই পারে।
[b]4K ভিডিও চিত্রধারণঃ[/b] অ্যাপল এর নতুন
ফোনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি 4K রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ড করতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েডের ডিভাইস গুলোতে এই সুবিধা অনেক আগে থেকেই ছিলো। অবশ্য সবাইই
উন্নততর সুবিধা দিয়ে মার্কেটে অবস্থান ধরে রাখতে চাইবে।
সুতরাং ফোর’কে ভিডিও ধারণের সুবিধা দেয়ায় অ্যাপলকে বরং ধন্যবাদই দেয়া উচিত- “অনুকরণ” এর তকমা নয়।
[b]স্টাইলাসঃ[/b] আইপ্যাড প্রো’তে “অ্যাপল পেন্সিল” নামে নতুন একটি
স্টাইলাস রয়েছে। এ প্রযুক্তিটি মাইক্রোসফট অনেক আগেই তাদের সার্ফেস
ট্যাবলেটের জন্য তৈরী করেছিলো।
[b]আইপ্যাড প্রো এর কিবোর্ডঃ[/b] আইপ্যাড
প্রো এর কিবোর্ড মাইক্রোসফটের সার্ফেস ট্যাবলেটের কিবোর্ডের মতই তৈরী করা
হয়েছে। অ্যাপেলের এই নতুন কিবোর্ড দেখেই বোঝা যায় যে এই কিবোর্ড তৈরীর
অনুপ্রেরণা তারা কোথা থেকে পেয়েছে।
আপনি কি নতুন আইফোন বা আইপ্যাডে অন্য কোনো কোম্পানির তৈরি ফিচার/ অ্যাপের অনুপ্রেরণা লক্ষ্য করেছেন? তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানান
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteyour all information very helpful.i am happy with you.i got lot of information from other site its nice.you can see this.
ReplyDelete